ভ্রূন ফেটে গেলে

1
1067
ভ্রুন ফেটে যাওয়া
ভ্রুন ফেটে যাওয়া


গর্ভাবস্থায় ভ্রূন ফেটে যাওয়া (Ruptured Ectopic pregnancy)
গর্ভবতী হবার জন্য শুক্রানু ও ডিম্বানু মিলিত হওয়ার দরকার। সাধারণত এই মিলনকে জাইগোট বলে এবং এই জাইগোট ডিম্ববাহী নালী তে হয়ে থাকে। জাইগোট থেকেই ভ্রূন তৈরী হয়। জাইগোট ডিম্ববাহী নালী থেকে জরায়ুর গায়ে এসে স্থাপিত হয় এবং বড় হয়ে ভ্রূন তথা বাচ্চায় রূপান্তরিত হয়।
কিন্তু কিছু কিছু সময়ে জাইগোট কিছু অস্বাভাবিক স্থানে যেমন, ওভারীর গায়ে, পেটের ভিতরে, ডিম্বনালীতেই রয়ে যায়। ডিম্বনালী সরু বিধায় এখানে জাইগোট বড় হবার সময় নালী সহ ফেটে যেয়ে মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি হয়। এই সময় পেটে প্রচন্ড ব্যথা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন কারনে পেটে প্রচন্ড ব্যথা হয়ে থাকে যেমন-

  • একিউট এপেন্ডিসাইটিস (Acute Appendicitis)
  • অন্ত্র ছিদ্র হয়ে যাওয়া (Perforation of Intestine)
  • অন্ত্রে প্যাচ লেগে গেলে (Intestinal Obstruction)
  • পেটে আঘাতের ফলে প্লিহা বা লিভার ফেটে গেলে (Rupture of Spleen or Liver)
  • পিত্তনালী বা ইউরেটারে পাথর আটকে গেলে (Stone Impaction in Bile duct or Ureter)
  • গর্ভাবস্থায় ভ্রুণ ফেটে গেলে (Rupture Ectopic pregnancy)
  • একশিরা বা হার্নিয়া আটকে গেলে (Strangulated Inguinal Hernia) ইত্যাদি

লক্ষণঃ

  • হঠাৎ করে তল পেটে ব্যথা শুরু হবে।
  • মাথা ঘুরাবে।
  • মহিলার মাসিক ২-৪ মাস বন্ধ থাকবে।
  • ব্যথা কোমর,পিঠে বা উরুর দিকে যাবে।
  • বমি বমি ভাব এবং বমি হবে।

    ভ্রুন ফেটে যাওয়ার লক্ষণ
    ভ্রুন ফেটে যাওয়ার লক্ষণ
  • শকের লক্ষণ দেখা দিবে যেমন, পালস (নাড়ী গতি) দ্রুত হবে বা পাওয়া যাবে না, রক্তচাপ কমে যাবে বা মাপা যাবে না, রোগী ফ্যাকাশে হতে থাকবে, হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাবে, প্রস্রাব কমে আসবে, রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।
  • তলপেট শক্ত হয়ে আসবে, চাপ দিলে ব্যথা লাগবে।
  • রোগীর শ্বাসকষ্ট হতে পারে
  • অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে।

চিকিৎসা:
জরুরী অপারেশন করার জন্য দ্রুত ৯৯৯ এ কল করে রোগীকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করার ব্যবস্থা করতে হবে।

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here