পেটে ব্যথা

0
1031
পেটে ব্যথা
পেটে ব্যথা


পেটে ব্যথা

পেটে ব্যথা একটা মারাত্বক ব্যাধি, যা হঠাৎ করে শুরু হয়ে থাকে। অনেক সময় এমন হয় যে, কোনো কাজ কর্ম করছেন বা বিশ্রাম নিচ্ছেন তখন হঠাৎ করেই পেটে ব্যথা শুরু হয়ে থাকে। রোগের ধরণ অনুযায়ী ব্যথা সহনীয় থেকে অসহনীয় পর্যায়ের হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারনে পেটে ব্যথা হলেও সঠিকভাবে চিকিৎসা নিলে দ্রুত আরোগ্য হওয়া সম্ভব। তবে প্রতিকার করার পূর্বে পেটে ব্যথার কারন নির্ণয় করা খুবই জরুরি।

পেটে ব্যথার কারনঃ

এপেন্ডিসাইটিস (Acute Appendicitis)
এপেন্ডিক্স হলো একটা ছোট, নলাকার বা আঙুলের মত থলি যা বৃহদন্ত্র থেকে প্রসারিত হয়। আর  এপেন্ডিসাইটিস  হলো  এপেন্ডিক্সের হঠাৎ প্রদাহ। যার ফলে পেটের ডান পাশের নিচের দিকে তীব্র  ব্যথার সৃষ্টি হয়। সাধারণত এই ব্যথা হঠাৎ করে হয়ে থাকে।

পিত্তনালীতে পাথর হলে (Stone in Bile duct)
পিত্তথলিতে পাথর হলে পেটে ব্যথা হয়ে থাকে। এই ব্যথা পেটের ডান দিকে হয়, তবে পিঠের দিকেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। বমি বমি ভাব, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা, জণ্ডিস আর খাবারে অরুচিও হতে পারে।

পেটে ব্যথার কারন
পেটে ব্যথার কারন

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে (Peptic Ulcer disease)
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে পেটে ব্যথা হয়। এই ব্যথা পেটের উপরিভাগ এবং বুকের মধ্যখান থেকে শুরু হয়। এই ব্যথা জ্বালাপোড়ার মতন হয়ে থাকে। বমি বমিভাব এবং টক ঢেকুর আসতে পারে।

অন্ত্র ছিদ্র হয়ে গেলে (Perforation of Intestine)
পেটে বিভিন্ন রকম দীর্ঘস্থায়ী জটিলতার ফলে অন্ত্র ছিদ্র হয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রে ব্যথা সমস্ত পেটে ছড়িয়ে পড়বে, পেটে চাপ দিলে ব্যথা অনুভব করবে এবং পেট শক্ত হতে থাকবে। হাত দিলে পেটকে বোর্ডের মত শক্ত মনে হবে, এবং রোগী নাড়াচড়া করলে ব্যথা বাড়বে।

কিডনিতে পাথর হলে (Stone Impaction in Ureter)
কিডনিতে বা ইউরেথ্রাতে পাথর হলে ব্যথা হয়ে থাকে। এই ব্যথা যে কিডনিতে পাথর হয়েছে ঐ কিডনির পাশে হয়ে থাকে। সাধারণত ব্যথা কিডনির উপরের এবং পিঠের পিছনের দিকে হয়ে থাকে। কিডনির ব্যথা আসতে আসতে তলপেটের দিকে নামতে থাকে। এই প্রচন্ড ব্যথা মাঝে মাঝে কমে আবার বাড়ে। কিডনিতে পাথর হলে বমি বমি ভাব ও জ্বর আসতে পারে।

গর্ভাবস্থায় স্থানের ভ্রুণ ফেটে গেলে (Rupture Ectopic pregnancy)
কিছু কিছু সময়ে জাইগোট কিছু অস্বাভাবিক স্থানে যেমন, ওভারীর গায়ে, পেটের ভিতরে, ডিম্বনালীতেই রয়ে যায়। ডিম্বনালী সরু বিধায় এখানে জাইগোট বড় হবার সময় নালী সহ ফেটে যেয়ে মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি হয়। এই সময় পেটে প্রচন্ড ব্যথা হয়। 

প্রাথমিক চিকিৎসাঃ
সর্বপ্রথম ব্যথার স্থান দেখে কারন নির্ণয় করার চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু কারণ নির্ণয় করতে না পারলেও কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে। যেমন-

  • মুখে খাবার (তরল/শক্ত) বন্ধ রাখতে হবে (Nothing by mouth)।
  • শিরায় নরমাল স্যালাইন দেয়া যেতে পারে।
  • ব্যাথা নাশক ও গ্যাসের ঔষধ সেবন করা যেতে পারে।
  • ৯৯৯ এ কল করে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here