এপেন্ডিসাইটিস (Appendicitis)

1
4677
এপেন্ডিসাইটিস
এপেন্ডিসাইটিস


এপেন্ডিসাইটিস (Appendicitis)

এপেন্ডিক্স হলো একটা ছোট, নলাকার বা আঙুলের মত থলি যা বৃহদন্ত্র থেকে প্রসারিত হয়। আর  এপেন্ডিসাইটিস  হলো  এপেন্ডিক্সের হঠাৎ প্রদাহ। যার ফলে পেটের ডান পাশের নিচের দিকে তীব্র  ব্যথার সৃষ্টি হয়। সাধারণত এই ব্যথা হঠাৎ করে হয়ে থাকে।

এপেন্ডিসাইটিসের কারনঃ

  • জীবানু দ্বারা এপেন্ডিক্স সংক্রমিত হলে।
  • গ্যাস্ট্রো ইনটেস্টাইনাল বা অন্ত্র সংক্রমিত হলে।
  • ভাওয়েল ব্লাডার সংক্রমিত হলে।
  • এপেন্ডিক্সে আঘাত প্রাপ্ত হলে।
  • এপেন্ডিক্সের মুখ বন্ধ হয়ে গেলে।
    এছাড়াও বিভিন্ন কারনে এপেন্ডিসাইটিস হয়ে থাকে।

এপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণঃ

  • ব্যথা – নাভীর চারপাশে ব্যথা শুরু হবে, ২/৩ ঘন্টা পরে এই ব্যথা তলপেটের ডান দিকে যেয়ে স্থির হয়। কাশি দিলে ব্যথা বাড়বে। ডান ইলিয়াক অঞ্চলে চাপ দিলে ব্যথা বাড়বে। চাপ হাঠাৎ ছেড়ে দিলে ব্যথা আরো তীব্রভাবে অনুভব হবে।একে রিবাউন্ড টেন্ডারনেস বলে। এটি এই রোগের মোটামুটি নিশ্চিত লক্ষণ।
  • হালকা জ্বর থাকবে।

    এপেন্ডিক্সের লক্ষণ
    এপেন্ডিক্সের লক্ষণ
  • বমি বমি ভাব ও বমি হতে পারে।
  • অনেক সময় ডায়রিয়া হয়ে থাকে।
  • মুখে দুর্গন্ধ হবে এবং জিহ্বাতে খয়েরী রং এর দাগ দেখা যাবে।
  • পালস বা নাড়ির গতি বৃদ্ধি পাবে।
  • তলপেটের ডান ইলিয়াক অঞ্চলে মাংসপেশী শক্ত হতে পারে।
  • রোভসিং সাইন থাকবে- বাম ইলিয়াক অঞ্চলে চাপ দিলে ডান ইলিয়াক অঞ্চলে ব্যথা হবে।

প্রাথমিক চিকিৎসাঃ

  • মুখে খাবার বন্ধ রাখতে হবে।
  • সম্ভব হলে শিরায় নরমাল স্যালাইন দিতে হবে
  • দেরি না করে দ্রুত ৯৯৯ এ কল করে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
  • চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে, প্রয়োজন হলে অপারেশন করতে হবে।

পরামর্শঃ
উপরের লক্ষণ গুলো কোনো রোগীর মধ্যে দেখা দিলে এদিক সেদিক চিকিৎসা না করে সরাসরি মেডিকেল সার্জন অথবা  গ্যাস্ট্রো-এন্টারোলজি বা পরিপাকতন্ত্র বিশেষজ্ঞ  চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। প্রায়শই এমন ক্ষেত্রে অপারেশন করা খুবই জরুরী হয়ে পড়ে।

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here