ক্ষত (Wound)
ক্ষত একধরনের ইনজুরি যা ত্বকে, মাংস পেশি, এমনকি হাড়েও ক্ষত হয়, ফলে ক্ষতস্থান থেকে রক্ত ক্ষরণ হয়, ব্যথা হয়, এমনকি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয়। সংক্রমনের ফলে মাংসপেশিতে পচন ধরা (Gangrene), টিটেনাস(Tetanus) প্রভৃতি প্রাণঘাতী রোগ হতে পারে। বিভিন্ন কারণে যেমন, আঘাত, এক্সিডেন্ট, সংক্রামক ইত্যাদি শরীরে ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
ক্ষতের প্রকারভদ (Classification):
- বদ্ধ ক্ষত (Closed wound)
- খোলা ক্ষত (Open wound)
এছাড়াও
- বিদ্ধ ক্ষত ও কামড় (Punched wound & Bites)
- ছিলে যাওয়া ও ঘর্ষণ জনিত পোড়া (Abrasion & Friction wound)
- কাটা যাওয়ার ক্ষত (Lacerated wound)
- ছিন্নভিন্ন ক্ষত (Crush wound)
- যুদ্ধাহত ও গুলির ক্ষত (War wound & Gun shot injury)
আজকে আমরা বদ্ধ ক্ষত সম্পর্কে জানবো
বদ্ধ ক্ষত (Closed wound)
সাধারণত বাইরের আঘাত, পড়ে যেয়ে মচকে যাওয়া বা মারধর খাওয়ার পরে শরীরে যে কালসিটে দাগ (Bruise) দেখা যায় তাকে বদ্ধ ক্ষত বলে। এই ধরনের ইনজুরিতে রক্ত বের হয় না। ফলে অনেকে তা বুঝতে পারে না, কিন্তু রক্ত চামড়া বা তন্তুর নিচে জমে (Hematoma) থাকে ফলে শরীরে কালসিটে দাগ (Bruise) দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা না করলে পরর্বিতে অনেক জটিল সমস্যার সৃষ্টি হয়।
প্রাথমিক চিকিৎসাঃ
- যদি বেশি পরিমানে রক্ত জমাট না বাধে তাহলে আঘাত পাওয়ার ৭২ ঘন্টার মধ্যে বরফ লাগাতে হবে।
- হাতে পায়ে আঘাত পেলে ফুলে যেতে পারে তখন হাত বা পায়ের নিচে বালিশ দিয়ে উঁচু করে রাখতে হবে
- ৭২ ঘন্টার পরে কুসুম গরম পানিতে আঘাত প্রাপ্ত স্থান ঢুবিয়ে রাখতে হবে।
- হাত বা পা মচকে যাওয়ার পরে যদি এমন হয় তাহলে ক্রেপ ব্যান্ডিজ বেঁধে দিতে হবে ।
- সম্পূর্ণ বেড রেস্টে থাকতে হবে।
- আঘাত প্রাপ্তস্থান আস্থে আস্থে নাড়ানোর চেষ্টা করবেন।
- কম তীব্র ব্যথা নাশক ঔষধ সেবন করতে হবে।
- বেশি পরিমানে রক্ত জমাট বেধে থাকলে কেটে বা সুই দিয়ে জমাট রক্ত বের করে দিতে হবে।
- পেটের ভিতরে আঘাত পেয়ে থাকলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
- সাহায্যের জন্য ৯৯৯ এ কল করতে পারেন।