প্রস্রাব আটকে যাওয়া (Retention of Urine)
কিডনি আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।এই কিডনি প্রস্রাব তৈরী করে এবং মূত্রাশয় সেই প্রস্রাব সাময়িক ভাবে জমা রাখে। মূত্রাশয় মোটামুটি পূর্ণ হলে মানুষের মূত্র বিসর্জনের ইচ্ছা জাগে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে মূত্রাশয়ে জমা থাকা মূত্র যদি মূত্রনালী দিয়ে বের হয়ে মূত্রথলি পুরো খালি করতে না পারে, সেই অবস্থাকে রিটেনশন অব ইউরিন বা মূত্র আটকে যাওয়া বলে।
কারণঃ
- প্রষ্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে গেলে।
- প্রষ্টেট গ্রন্থিতে ক্যান্সার হলে।
- মূত্র নালীতে পাথর আটকে গেলে।
- আঘাতের পর মূত্রনালীতে রক্ত জমাট বাধলে।
- আঘাতের পর মূত্র নালী চিকন হয়ে গেলে।
- বারবার গনোরিয়া বা অন্য সংক্রমন দ্বারা আক্রান্ত হলে।
- বাচ্চাদের পুরুষাঙ্গে ফিমোসিস হলে।
- মেরুদণ্ডে (স্পাইনাল কর্ডে) আঘাত পেলে ইত্যাদি।
লক্ষণঃ
- রোগীর প্রধান সমস্যা হচ্ছে প্রস্রাব সম্পূর্ণ করতে পারবে না।মনে হবে, যতই প্রস্রাব করে, প্রস্রাব রয়ে যায়।
- তলপেট টনটন করে ব্যাথা করবে।
- প্রস্রাবের রাস্তা জ্বালাপোড়া করবে।
- খুবই অস্বস্থিকর
- অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ বিহীনভাবে ফোটা ফোটা প্রস্রাব বের হতে পারে।
প্রাথমিক চিকিৎসাঃ
- মূত্রনালীতে আঘাত প্রাপ্ত রোগী ছাড়া অন্য সকল রোগীকে মূত্রনালী দিয়ে ক্যাথেটার (Catheter) ঢুকিয়ে, মূত্র বের করে দিতে হবে। বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে ফলিস দুই চ্যানেল বিশিষ্ট ক্যাথেটার করাই উত্তম। অন্যদের ক্ষেত্রে সাময়িক ভাবে রাবারের প্লেইন ক্যাথেটার ব্যবহার করা যায়।
- প্রস্টেট গ্রন্থিতে কোনো সমস্যা হলে একজন নেফ্রোলজিস্টের পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং চিকিৎসা নেন।
- গনোরিয়া সহ অন্যান্য সেক্সুয়াল সংক্রমিত রোগ থাকলে একজন চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং চিকিৎসা নিন।
- মূত্রনালীতে আঘাত প্রাপ্ত রোগী হলে দ্রুত ইউরোলজিস্টের দ্বারস্ত হউন এবং প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি করুন।
- মেরুদণ্ডে (স্পাইনাল কর্ডে) আঘাত প্রাপ্ত রোগী হলে দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণ করুন প্রয়োজনে ৯৯৯ এ কল করে সাহায্য নিন।
[বিঃদ্রঃ রিটেনশন অব ইউরিন এবং এনুরিয়া এক নয়। এনুরিয়া অর্থ হচ্ছে, দিনে ১০০ মিলিলিটার এর কম মূত্র বের হওয়া। সাধারণত যার প্রধান কারণ কিডনি প্রস্রাব তৈরী করতে পারে না (কমপক্ষে কিডনি ১২ ঘন্টা প্রস্রাব তৈরী করা বন্ধ থাকলে) কিংবা কখনো কখনো মূত্রনালিতে সমস্যার জন্য ও এনুরিয়া হতে পারে]
[…] প্রস্রাব আটকে গেলে (Retention of urine) […]