Bell’s Palsy | বেল’স পালসি (ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস)

0
889
Bells-Palsy

১৯ শতাব্দীতে স্কোটিস এনাট্মিস্ট,সার্জন স্যার চার্লেস সর্বোপ্রথম বেল’স পালসি আবিষ্কার করেন।

বেল’সপালসি বাইডিয়োপ্যাথিক পেরিফেরিয়াল ফেসিয়াল নার্ভ পালসিহল ৭ম ক্রেনিয়াল স্নায়ু বা নার্ভের সবচেয়ে কমন রোগ।এতে ৭ম ক্রেনিয়াল নার্ভে প্রদাহ হয় ফলশ্রুতিতে মুখের আক্রান্ত পাশের মাংশপেশি গুলোর কার্যক্ষমতা কমে যায় এবং মুখ বেঁকে যায়।

বেল’স পালসি রোগ সংক্রান্ত তথ্যঃ

  • গবেষণায় দেখা গেছে গড়ে ১০,০০০ জনের মধ্যে ১৫-৩০ জনের বেল’স পালসি বা মুখ বাঁকা হয়ে থাকে। [1]
  • প্রায় ৬০% বেল’স পালসির ক্ষেত্রে কারণ অজানা বাইডিয়োপ্যাথিক এবং বাকি ক্ষেত্রে কারণ জানা যায় বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।[2]
  • বেল’স পালসি সমান বর্ণ ও লিঙ্গ ভেদে বছরে ৬৫,০০০ বারের ও বেশি সময় ঘটে থাকে। কেসগুলি সমস্ত বয়সের ক্ষেত্রে ঘটে তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে এর হার বাড়তে থাকে।বেল’স পালসি একই সময়ে মুখের দুইপাশে বা পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবণা খুবই বিরল।[3]

বেল’স পালসি এর কারণঃ

প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে বেল’স পালসি বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে,যেমন

  • ইডিয়োপ্যাথিক বা কারণ অজানা অন্যতম
  • ট্রমাহলে(ফেসিয়ালট্রমা এবং বেসালস্কাল ফ্র্যাকচার)
  • ভাইরাস দ্বারা ইনফেকশন হলে (লাইমডিজিজ, ওটিটিসমিডিয়া, সিফিলিস, মেনিনজাইটিসএবংম্যাম্পস)
  • টিউমার হলে (প্যারোটিডটিউমার, সারকোমাএবংফেসিয়ালনার্ভমেনিনজিওমা)
  • ব্রেইনস্টিম ডিসওর্ডার হলে (মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস এবং স্ট্রোক)ইত্যাদি কারনে হয়ে থাকে।

বেল’স পালসি এর লক্ষণ ও উপসর্গঃ

  • সম্পূর্ণ বা অসম্পূর্ণ মুখের একপাশের মাংশপেশির দূর্বলতা দেখা যাবে।
  • মাংশপেশির কার্যক্ষমতা কমে যাবে বা প্যারালাইজড দেখা যাবে
  • প্যারালাইসিসের সময় কানের ভিতরে তীব্র ব্যথা অনুভুত হবে
  • স্বাদহীন অনুভুত হবে
  • খাদ্য খেতে কষ্ট হবে
  • কিছু কিছু ক্ষেত্রে কথা বলতেও সমস্যা হয়
  • আক্রান্তপাশের চোখ ঠিক মতন বন্ধ করতে পারবে না
  • মুখে ভিতরে পানি ধরে রাখতে বা কুলি করতে কষ্ট হবে

বেল’স পালসি এর ডায়াগনোসিসঃ

একজন চিকিৎসক রোগীর বৃত্তান্ত শুনে এবং রোগীর শারীরিক পরীক্ষা নিরিক্ষা করে বেল’স পালসি ডায়াগনোসিস করবেন।

তবে তিনি আরো নিশ্চিত হওয়ার জন্য এবং কোনো ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা বুঝার জন্য CSF,EMG,MRI সহ ইত্যাদি পরীক্ষা দিতে পারেন।

বেল’স পালসি এর চিকিৎসাঃ

বেল’স পালসি হলে মুখ বেঁকে যায়। এই মুখ বেঁকে যাওয়া হয়ে থাকে মুখের মাংশপেশির প্যারালাইসিসের কারণে। যদি পেশিগুলো অসম্পূর্ণ প্যারালাইসিস হয়ে থাকে তাহলে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে সম্পন্ন সুস্থ করে তোলা সম্ভব এবং তা ২ মাসের মধ্যে সম্ভবপর হয়ে থাকে।

আর যদি পেশিগুলো সম্পূর্ণ প্যারালাইসিস হয়ে থাকে তাহলে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে সম্পন্ন সুস্থ করে তোলা সম্ভব না হলেও রোগী প্রায় ৮০% সুস্থ হয়ে থাকে এবং তা ১-৩ মাসের মধ্যেই।

বেল’স পালসি রোগীরা ঔষদের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা গ্রহণ করলে খুব দ্রুত এবং ভালো রেজাল্ট পেয়ে থাকেন। তবে যতদ্রুত সম্ভব (৭২ ঘন্টার মধ্যে) বেল’স পালসির চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

এছাড়াও সান গ্লাস পরা,বেলুন ফুলানো,কুলি করার চেষ্টা করা ইত্যাদি কাজ বাসায় করলে রোগী বেশ উপকৃত হয়ে থাকে।

বেল’স পালসি পরামর্শঃ

বেল’স পালসি সমস্যা মনে করলে খুব দ্রুত একজন নিউরোলজিস্ট এবং একজন গ্র্যাজুয়েট ফিজিওথেরাপিষ্টের শরণাপন্ন হবেন। চিকিৎসকেরা রোগীর সমস্যার মূল কারণ নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সৃষ্টি কর্তার দয়ায় রোগীকে সুস্থ করার চেষ্টা করবেন।

References:

  1. M. W. C. W. M. E. J. B. M. D. L. T. K. M. D. Slavica K. Katusic MD C. Mary Beard RN, “Incidence, clinical features, and prognosis in Bell’s palsy,” Anals of Neurology, vol. 20, no. 5, pp. 622-627, 1986.
  2. L. E.Davis, M. K.King and J. L.Schultz, Fundamentals of Neurologic Disease, Mexico: Library of Congress Cataliging, 2005.
  3. O. J. Marenda SA, “The evaluation of facial paralysis,” Otolaryngologic Clinics of North America, vol. 30, no. 5, pp. 669-682, 1997.

from facialpalsyuk page

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here